লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

Published : ২৩:২৮, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির ২ পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট ও বাবুরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনো সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৫ আগস্টের পর মেঘনার চর, মাছঘাট, বাজার ও কাঁচামালের আড়ত নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউনিয়নে বিএনপির মধ্যে দুটি ধারা সৃষ্টি হয়। এক পক্ষে উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব শামিম গাজী ও অন্য পক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি ফারুক কবিরাজ নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে মেঘনার পাড়ের চান্দারখালের এলাকায় উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিবের টেবিলের পাশের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন খাসেরহাট এলাকার বিএনপি নেতা ফারুক গাজি। 

এ নিয়ে শামিম গাজির নেতৃত্বে তার অনুসারীরা খাসেরহাট বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এরপর ফারুক কবিরাজের নির্দেশে শামিম গাজীর অফিস ভাঙচুর করা হয়।

আজ সকালে শামিমের শশুর শফিক রাঢ়ির বাড়িতে হামলা হয়। ওই সময় তারা শফিক রাঢ়িকে মারধর করে বাড়িঘর ভাঙচুর, তার পক্ষের মিজানের বাড়ি ও দোকানে হামলা, দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়।

দুদিনের ঘটনায় কমপক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর জখম শফিক রাঢ়ি (৪৮) ও লিন রাঢ়িকে (৪৫) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

আহত তাহমিনা বেগম, সানু বেগম, গণি রাঢ়ি, মিজান খাঁন, কবির হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জিহাদ রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শামিম গাজী বলেন, ‘ফারুক কবিরাজের নির্দেশে আমাদের ওপর জঘন্য হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।’

ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ বলেন, ব্যানার নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় আমি মিমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দেই। কিন্তু তারা না মেনে আমার নামে বাজারে অশালীন বক্তব্য দিয়ে মহড়া দিয়ে আমাদের অফিস ভাঙচুর করা হয়। এরপর আমরাও তাদের ওপর আক্রমণ করি।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থলে সেনা সদস্যদের সঙ্গে আমাদের পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি।’

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement