ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
Published : ১০:১৮, ১ জানুয়ারি ২০২৫
আজ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি—এ তিন মূলনীতিকে ধারণ করে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রসংগঠনে পরিণত হয়েছে ছাত্রদল।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটি ২দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে বেলা ১১টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত। এরপর দুপুর ১২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামের সামনে রক্তদান কর্মসূচি ও দুপুর ২টায় অডিটোরিয়ামে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ও সারা দেশে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২ জানুয়ারি রাজধানীর গুলিস্তান আউটডোর স্টেডিয়ামে কেন্দ্রীয় সংসদের ৮টি টিমের মধ্যে ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে এবং সারাদেশে সব ইউনিটিতে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, দাবা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় পর মুক্ত বাতাসে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সুযোগ পাচ্ছে ছাত্রদল। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনের প্রাণ হারানো শহীদদের আমরা স্মরণ করছি। আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি। দেশের মানুষকে নিজের ভোট প্রদানের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমরা এখনও লড়াই জারি রেখেছি। বর্তমান ছাত্রদল আরও বেশি শক্তিশালী, আরও সুসংগঠিত।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদল অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করেছে। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রদলের ত্যাগ ছিল নজিরবিহীন। শুরু থেকেই ছাত্রদল পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আন্দোলনকে বেগবান করেছে। ছাত্রদল একুশ শতকের উপযোগী মেধাভিত্তিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ছাত্র-রাজনীতি চর্চায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নেতাকর্মীরা যাতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে আমরা সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত করছি। মেধাবী তরুণদেরকে নিজ নিজ প্রতিভা বিকাশের সুযোগ প্রদান এবং ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত সব দাবির পক্ষে আমরা কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।
বিডি/এন