শৌচাগারের সুন্নাতগুলো জেনে নিন

শৌচাগারের সুন্নাতগুলো জেনে নিন

ধর্ম ডেস্ক:

Published : ০৯:৫৭, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

শৌচাগারে যাওয়ার জন্য টিস্যু এবং পানি উভয়টিই নিয়ে যাওয়া সুন্নাত। মুস্তাহাব হলো- ৩টি ঢিলা-টিস্যু নেওয়া। (বুখারি : হাদিস-১৫০)।

জুতা স্যান্ডেল পায়ে রাখা। (সুনানে কুবরা, বায়হাকি রহ. : হাদিস-৪৫৬)। বাথরুমে প্রবেশের আগে দোয়া পড়া (বুখারি : হাদিস-১৪২)।

কোনো স্থানে বাথরুম না থাকলে এমন স্থানে চলে যাওয়া, যেখানে কারও দৃষ্টি না পড়ে। (সূরা নূর : আয়াত ৩০)। পেশাবের জন্য এমন স্থানে যাওয়া, যে স্থানের মাটি নরম। যাতে পেশাবের ছিটা শরীরে এসে না পড়ে। (আবু দাউদ : হাদিস-৩)। বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা। (আবু দাউদ : হাদিস-৩২)।

সম্মানিত কোনো বস্তু নিয়ে বাথরুমে না যাওয়া। যেমন আংটি অথবা অন্য কোনো জিনিসের ওপর যদি কুরআনের আয়াত অথবা নবি কারিম (সা.)-এর নাম কিংবা সম্মানিত কিছু লেখা থাকে এবং তা দেখা যায়, তাহলে তা নিয়ে বাথরুমে প্রবেশ না করা।

তবে কুরআনের আয়াত বা নবি কারিম (সা.)-এর নাম লিখিত তাবিজ যদি মোম বা কাপড় দিয়ে আটকানো থাকে, তাহলে তা নিয়ে প্রবেশ করাতে কোনো অসুবিধা নেই। (তিরমিজি : হাদিস-১৭৪৬)।

সতর খোলার সময় যথাসম্ভব নিচু হয়ে খোলা। (তিরমিজি : হাদিস-১৪)। ইস্তিঞ্জার সময় কিবলার দিকে মুখ ও পিঠ দিয়ে না বসা। (বুখারি : হাদিস-৩৯৪)। ইস্তিঞ্জার সময় অতি প্রয়োজন ছাড়া কথা না বলা। এমনকি জিকির-আসকারও না করা। (আবু দাউদ : হাদিস-১৫)। পেশাবের ছিটা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা।

কারণ পেশাবের ছিটা থেকে বেঁচে না থাকার কারণে কবরে আজাব হয়ে থাকে। (বুখারি : হাদিস-২১৮)। ইস্তিঞ্জার সময় ডান হাত দিয়ে ইস্তিঞ্জা না করা ও লজ্জাস্থান স্পর্শ না করা। (বুখারি : হাদিস-১৫৪)। বসে পেশাব-পায়খানা করা, দাঁড়িয়ে না করা। (নাসাঈ : হাদিস-২৯)।

পেশাব করার পর পেশাবের ফোঁটা আসা বন্ধ হওয়ার জন্য হাঁটাহাঁটির প্রয়োজন হলে দেওয়াল ইত্যাদির আড়ালে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করা। (ইবন মাজাহ : হাদিস-৩২৬)। ডান পা দিয়ে বের হওয়া। (আবু দাউদ : হাদিস-৩২)। বের হয়ে দোয়া পড়া (আবু দাউদ : হাদিস-৩০)।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement