টানা ৫ ঘণ্টা কোরআন পড়লেন দৃষ্টিহীন ফিলিস্তিনি তরুণী
Published : ২১:১৬, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
মালাক হামিদান। ফিলিস্তিনের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এক তরুণী। নজিরবিহীন এক রেকর্ড সৃষ্টি করলেন, এক বৈঠকে পুরো কোরআন তেলাওয়াত করে খতম করেছেন তিনি।
২৪ বছর বয়সী মালাক হামিদান ফিলিস্তিনের কালকিলি প্রদেশের দক্ষিণে হাবলা শহরে বসবাস করেন। তিনি এক বৈঠকে টানা ৫ ঘণ্টা তেলাওয়াত করে পুরো কোরআন খতম করেছেন।
তার সঙ্গে মোট ৪১ জন শিক্ষার্থী কোরআন হেফজ করার ক্লাসে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম কোরআন হেফজ করার নজির গড়েন।
অন্ধত্বের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে কোরআন মাজিদ মুখস্থ করতে সফল হয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি তাকে নিয়ে আল জাজিরা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আল জাজিরাকে মালাক হামিদান বলেন, আমি টানা ৫ ঘন্টা তেলাওয়াত করে কোরআন মাজিদ খতম করেছি। কোরআনে কারিমের প্রতিটি পারা শেষ করতে আমার ৯ থেকে ১২ মিনিট সময় লেগেছে। আমি যখন কোরআন খতম করার জন্য তেলাওয়াত করছিলাম, তখন ভাবিনি এত দ্রুত শেষ করতে পারব। তেলাওয়াত করতে করতে আমি যখন ২৫ পারায় পৌঁছাই, তখন আমার চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হতে থাকে। বাকি ৫ পারা আমি শেষ করেছি এভাবেই, আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে, আমি এমন কাজ করতে সক্ষম হবো।
ফিলিস্তিনি এই তরুণী কোরআন মাজিদ মুখস্থ করার অসুবিধা এবং চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বলেন, আমি অকপটে বলতে পারি যে; আমি কোনো অসুবিধা অনুভব করিনি। আল্লাহতায়ালা আমার জন্য অসুবিধাগুলো সহজ করে দিয়েছেন এবং আমি পুরো কোরআন মুখস্ত করতে সক্ষম হয়েছি।
মালাক হামিদান আরও বলেন, আমার এই কাজের পেছনে বাবা-মায়ের সমর্থন ও উৎসাহ ছিল ব্যাপক। আমি যখন কোরআন মুখস্থ করতে অলসতা করতাম, তখনই আমার বাবা আমার সঙ্গে কথা বলতে, আমাকে বোঝাতেন। তিনি বারবার বলেছেন, থামার কোনো মানে হয় না; আমার উচিত পড়া চালিয়ে যাওয়া।
যারা কোরআন মুখস্থ করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাদের পক্ষে এটি কঠিন, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যেসব মেয়েরা কোরআনে কারিমের অনেক আয়াত মুখস্ত করতে পারে না, তাদের প্রতিদিন একটি আয়াত মুখস্থ করার পদ্ধতি অনুসরণ করতে, আজ একটি আয়াত মুখস্থ করুন এবং পরের দিন এটিতে আরেকটি আয়াত যোগ করুন, এভাবে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্ত করতে সহজ হবে।’
বিডি/এন