মিলে যাচ্ছে মহানবীর ভবিষ্যদ্বাণী! সবুজে ছেয়ে যাবে আরব

মিলে যাচ্ছে মহানবীর ভবিষ্যদ্বাণী! সবুজে ছেয়ে যাবে আরব

ধর্ম ডেস্ক

Published : ০০:০৩, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছিলেন, কেয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত সংগঠিত হবে না যতক্ষণ আরব ভূখণ্ড আবারও তৃণভূমিতে পরিণত না হয়। সে সঙ্গে এখানে নদী প্রবাহিত হবে। অর্থাৎ পৃথিবী ধ্বংসের আগে আরবের মরুভূমিগুলো সবুজে ছেয়ে যাবে এবং সেখানে নদীর সৃষ্টি হবে। মহানবীর সে কথা যেন হুবহু মিলে যাচ্ছে। এখন প্রায়ই শোনা যায়- সবুজে ছেয়ে গেছে আরবের মরুভূমির বিস্তীর্ণ এলাকা।

মহানবী (সা.)-এর কথা যে মিলে যাচ্ছে তার প্রমাণ দিলেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল্লাহ আল মিসনাদ। তিনি জানিয়েছেন, এখনকার উত্তপ্ত মরুভূমি একটি সময় তৃণভূমিতে পরিণত হতে পারে। সঙ্গে এখানে প্রবাহিত হতে পারে নদীও।

তিনি জানান, চারভাবে মরুভূমিগুলো সবুজে পরিণত হওয়ার তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে। দ্য নিউ আরবের এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত উঠে এসেছে।

তার মতে, ১ম হতে পারে মানব-প্ররোচিত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। দাবি করেন, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং আবহাওয়ার ধরন পরিবর্তনের কারণে এ অঞ্চলের শুষ্ক আবহাওয়া পাল্টে যেতে পারে। এতে করে আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগর থেকে আদ্র বাতাস এই অঞ্চলে ঢুকবে। ফলে এর প্রভাবে সেখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে। এতে ৭ হাজার বছর আগে আরব উপদ্বীপ যেমন সবুজ ছিল এটি আবার তেমন হয়ে যাবে।

২য় সম্ভাব্য কারণ হিসাবে তিনি দাবি করেন, সৌদি আরবে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হতে পারে, যা সেখানকার আবহাওয়াকে আমূল পরিবর্তন করে দিতে পারে।

তিনি জানান, সৌদির পূর্বাঞ্চলে ২ হাজার আগ্নেয়গিরি থাকতে পারে। তাইফের কাছে অবস্থিত আল-ওয়াবাহর মতো আগ্নেয়গিরিতে যদি বিস্ফোরণ ঘটে তাহলে এটির প্রভাব হবে বিশাল।

বিস্ফোরণের কারণে সূর্যের আলো ঢাকা পড়তে পারে। এতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমে যাবে। যেটির প্রভাব পড়বে এই অঞ্চলে। এর মাধ্যমে সেখানে আদ্র বাতাস জমা হবে। এতে শুকনো মরুভূমি উর্বর ভূমিতে পরিণত এবং সেখানে নদীর প্রবাহ শুরু হতে পারে।

৩য় সম্ভাব্য কারণ হিসাবে তিনি পৃথিবীর সঙ্গে বিশাল উল্কার সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করেছেন। এমনটি হলে বায়ুমণ্ডলে মহাকাশীয় ধুলো ও ধ্বংসাবশেষ আসবে। এতে করে সূর্যের আলো কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রবেশ করবে না। এতে আরব উপদ্বীপ একটি ঠান্ডা অঞ্চলে পরিণত হবে। যেখানে কোনো মানুষ বসবাস করতে পারবে না।

৪র্থ কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, পৃথিবীর অক্ষের স্থানচ্যুতি। এতে পৃথিবীর অবস্থানের পরিবর্তন হবে। এর প্রভাবে বায়ুমণ্ডলীয় চাপকেন্দ্রে পরিবর্তন ঘটে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে এবং আরব উপদ্বীপ সবুজে পরিণত হতে পারে।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement