ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত বাংলাদেশ টার্গেট দিলো ৩২২

ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত বাংলাদেশ টার্গেট দিলো ৩২২

ক্রীড়া ডেস্ক

Published : ০২:১৫, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে এসে ৩০০ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের স্কোর। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে টাইগারদের ধবলধোলাই করতে ৩২২ রানের লক্ষ্য পেয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। তবে ব্যাটিংয়ে মাহমুদুল্লাহ-জাকের জুটির নজরকাড়ার পর বল হাতেও দুর্দান্ত করছে বাংলাদেশ।

সেন্ট কিটসে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) নতুন বলে হাসান মাহমুদ আর নাসুম আহমেদ দুজনেই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। ফিল্ডিং বিভাগও হতাশ করেনি। একটা রানআউট এসেছে। সঙ্গে আছে একটা ক্যাচও।

টাইগারদের বছরের শেষ ওয়ানডে এবং চলতি বছরে নিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে হাসান মাহমুদ প্রথম ওভারে দিয়েছেন ৫ রান। দ্বিতীয় ওভার করতে আসা নাসুম আহমেদের ওপর প্রথম বল থেকেই চড়াও হন ব্র্যান্ডন কিং। ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ২ চার ও ১ ছক্কা। কিন্তু ওভারের শেষ বলেই ১ রান নিতে চেয়েছিলেন কিং। কিন্তু অ্যাথানেজ সাড়া দেননি। ততক্ষণে পিচের প্রায় মাঝপথে চলে এসেছিলেন কিং। মিরাজের থ্রো ছিল মাপা। বাকি কাজ সারতে ভুল করেননি লিটন দাস। দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের প্রথম সাফল্যের পর ওভারেই নাসুম পান দ্বিতীয় উইকেটের দেখা। স্টাম্প থেকে সরে এসে সুইপ করতে চেয়েছিলেন অ্যাথানেজ। তার ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে ফুল লেংথের বল সরাসরি স্টাম্পে। এর পর অধিনায়ক শেই হোপ টিকতে পারেননি বেশি সময়। হাসান মাহমুদের করা অফ স্টাম্পের বাইরে বলে হিট করতে সময়ের গড়বড় করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। এতে প্রথম স্লিপে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেন। দলীয় ৩১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আছেন ক্যাসি কার্টি এবং শেরফাইন রাদারফোর্ড।

যদিও খেলা তাদের থামাতে হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস ৪৯ রানে ৭.৪ ওভারে থাকা অবস্থায় বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়। তবে, খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। ২৪ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর অবশেষে আবার খেলা শুরু হয়। তবে ভালো খেলতে খেলতেই আউট হয়ে যান শেরফাইন রাদারফোর্ড।

এখন পর্যন্ত খেলা হয়েছে ২৬.০০ ওভার, ৪ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ১৬৫ রান। ক্যাসি কার্টি ৭৪ ও জেঙ্গো ৩১ রানে ব্যাট করেছেন।

এর আগে বাংলাদেশের মান বাঁচানোর ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের পেস আক্রমণে খেই হারা টাইগারদের টেনে তুলে মেহেদি-সৌম্য জুটি। আর ফিনিশিং দেন বরাবরের মতো মাহমুদুল্লাহ-জাকের জুটি। সেন্ট কিটসে এমনিতেই সিরিজ হেরে মানসিকভাবে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। তাই সিরিজে একটি জয় পেতে একাদশে তিন পরিবর্তন আনে টাইগাররা। এ দিন শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব ও নাহিদ রানার পরিবর্তে খেলানো হয় নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদকে।

টস হেরে শুরুতেই বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারকে নিয়ে মাঠে নামেন তানজিদ হাসান। দুই ম্যাচে ধারাবাহিক ভালো খেলা তানজিদ এদিন শূন্য হাতে ফিরে যান। আলজারি জোসেফের দ্বিতীয় ওভারে রাদারফোর্ডের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন এই ওপেনার। এই ওভারেই পরে জোসেফের বলে তিনে নেমে শূন্য হাতে ফিরে যান লিটন দাসও। তখন ৯ রানে দুই উইকেট খুইয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।

এরপর সৌম্য সরকার ও মেহেদি হাসান মিরাজ ক্যামিস্ট্রিতে ধসে যাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে মেরামতের ইঙ্গিত পায়। দুই ম্যাচে রান না পেলেও মিরাজের সঙ্গে জুটি গেরে আশা জাগান সৌম্য। মোতির বলে লেগ বিফর উইকেটের ফাঁদে মাঠ ছাড়ার আগে ৭৩ বলে ৭৩ রান তুলে নেন এই ওপেনার। তার যাওয়ার সময় তিন উইকেটে হারিয়ে দলীয় স্কোর দাড়ায় ১৪৫ রান।

দ্বিতীয় ম্যাচে রান তুলতে না পারলেও এই ম্যাচে রান আউটের ফাঁদে পরার আগে ৭৩ রানের লম্বা ইনিংস খেলেন অধিনায়ক। টাইগার কাপতান ফেরার পর পরই দলীয় ১৭১ রানের মধ্যে আফিফকে হারায় বাংলাদেশ। গত ম্যাচে দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ-জাকের আলী জুটি আজও উজ্জল ছিলেন। ৬৩ বল খেলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ। আর ৫৭ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ছিলেন জাকের আলী। এই দুই জনের হার না মানা ১৫০ রানের ইনিংসে ভর করে ৩২১ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement