বক্সিং ডে টেস্ট কী, জেনে নিন ইতিহাস
Published : ২০:০৩, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারত ও অস্ট্রেলিয়া বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ শেষে ১-১ সমতায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে মেলবোর্নে শুরু হবে বক্সিং ডে টেস্ট। দুই দলের জন্যই ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই জানে না এই টেস্টকে কেন বক্সিং ডে টেস্ট বলা হয়।
আদৌ কি আছে বক্সিং বা মুষ্টিযুদ্ধের সঙ্গে কোনও যোগ আছে? এই প্রতিবেদনে বক্সিং ডে টেস্টের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা হলো।
বক্সিং ডে কী
প্রথমত বক্সিং ডে বলতে বোঝানো হয় ক্রিসমাস বা বড়দিনের পরের দিনটিকে। অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী সামর্থ্যবানেরা বক্স বা বাক্সে করে গরিব-দু:খীদের মাঝে বিভিন্ন উপহার ও টাকা পয়সা বিতরণ করতো। এই দিনটির মহত্বকরে রাখতেই ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে। এর অর্থ হলো বক্স বন্দী করে অন্যকে উপহার দেওয়া। ওই বক্সের করে উপহার দেওয়ার প্রেক্ষিতেই এটা বক্সিং ডে নামে পরিচিতি পেয়েছে।
বক্সিং ডে টেস্ট
বক্সিং ডে-তে সাধারণত যে ফুটবল কিংবা ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সেই ম্যাচকে বলা হয় বক্সিং ডে ম্যাচ। আর এই দিনে টেস্ট ক্রিকেট খেলে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ড। সবচেয়ে জনপ্রিয় অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক মেলবোর্নে খেলা টেস্ট। বক্সিং ডে টেস্টের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। ১৮৬৫ সালে ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্যে একটি শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচ হয়েছিল এই মেলবোর্নে। দেখতে গেলে সেখান থেকেই শুরু।
বক্সিং ডে টেস্টের রেকর্ড
২০১৩ সালের বক্সিং ডে টেস্ট ইতিহাস লিখেছিল। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের ম্যাচটি দেখতে মেলবোর্নে সেবার ৯১ হাজার ১১২ জন দর্শক এসেছিলেন। বক্সিং ডে টেস্টে একাধিক স্মরণীয় মুহূর্ত রয়েছে। ১৯৮৫ সালে অজি কিংবদন্তি স্টিভ ওয়াহ অভিষেক করেছিলেন বক্সিং ডে টেস্টে। ১৯৮৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার ম্যালকম মার্শাল ৩০০ টেস্ট উইকেট নিয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে স্পিন জাদুকর শেন ওয়ার্ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড করেছিলেন। ২০০৬ সালে আবার ইংলিশদের বিপক্ষে ৭০০ টেস্ট উইকেট নিয়েছিলেন।
বক্সিং ডে টেস্টের জনপ্রিয়তা
বক্সিং ডে টেস্ট শুধু ক্রিকেট ভক্তদের জন্য নয়, বরং সাধারণ মানুষের কাছেও একটি বিনোদনের উৎস। ছুটির দিন হওয়ায় মানুষ পরিবার নিয়ে স্টেডিয়ামে আসে এবং টিভিতে খেলা উপভোগ করে। এটি ক্রীড়া ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সংমিশ্রণ।
বিডি/এন