প্রথম দিনে দুর্দান্ত ম্যাচ দেখলো বিপিএল: জিতলো বরিশাল

প্রথম দিনে দুর্দান্ত ম্যাচ দেখলো বিপিএল: জিতলো বরিশাল

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২০:৪৪, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

জয় পরাজয় থাকবেই। তাতে কেউ একজন হারবে, কেউ জিতবে। কিন্তু হারজিত ছাপিয়ে একাদশ বিপিএল দেখলো দারুণ এক ম্যাচ। যে ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধনীটা রাঙিয়ে দিয়ে গেলো ফলচুন বরিশাল আর দুর্বার রাজশাহী। ১৯৭ রানের বিশাল স্কোর করেও জয়টা নিজেদের করতে পারেনি রাজশাহী। অন্যদিকে হারতে হারতে জিতে গেলো বরিশাল। ১১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয় তলে নিলো বরিশাল। বিপিএলের ইতিহাসে এমন জমজমাট উদ্বোধনী ম্যাচ হয়নি কখনো।  

প্রথম ম্যাচেই কাঙ্খিত জয়। শূভ সূচনা ফরচুন বরিশালের। একাদশ বিপিএল এ উদ্বোধনী ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ফরচুনেট দলই বলতে হবে। 

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল রাজশাহী। মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ১৯৭ রানের নিরাপদ স্কোর। 

প্রথম ম্যাচে উইকেট কেমন হয় তা নিয়ে শঙ্কা ছিল বরিশালের। এজন তারা টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুতে তারা সফলও ছিল। ১.৩ ওভারে দলীয় ৫ রানে পড়ে রাজশাহীর প্রথম উইকেট। ২ বলে ‘ডাক’ নিয়ে ফিরতে হয় জিসান আলমকে। মোহাম্মদ হারিস ফিরে যান ৩.১ ওভারে; দলীয় ২৫ রানে। চাপের মধ্য থেকে ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন এনামুল হক বিজয় এবং ইয়াসির আলী রাব্বি। ১৭.৪ ওভারে এনামুল ফিরে যান। কিন্তু ততক্ষণে দলকে তিনি দিয়ে যান শক্ত ভিত্তি। ১৬৫ রানে যখন এনামুল ফিরেন, ততক্ষণে ৫১ বলে ৬৫ করে ফেলেন তিনি। তবে অপর প্রান্তে ইয়াসির আলী ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ৪৭ বলে ৯৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন দুর্বার রাজশাহীর এই যুবক। উইকেট ধরে রেখে শেষের দিকে ঝড় তুলেন ইয়াসির। সেই ঝড়ে বরিশালের বোলিং তোপ প্রায় অকার্যকর হয়ে যায়। 

বরিশালের হয়ে ২ উইকেট নেন কাইল মায়ার্স, বাকিটা পান ফাহিম আশরাফ। বাংলাদেশের কোনো বোলার উইকেট পাননি।  

জবাব দিতে নেমে মোটেও সুবিধে করতে পারেনি ফরচুন বরিশাল। প্রথম বলেই আউট হয়ে যান অফ ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ১২ রানে বিদায় নেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল, ৫ বলে তিনি করতে পারেন ৭ রান। কাইল মায়ার্স আউট হন দলীয় ৩০ রানে; করতে পেরেছেন ৫ বলে ৬ রান। ১১ বলে ১৩ রান করে মুশফিক যখন আউট হন, দলের রান তখন ৫১। ৮.১ ওভারে দলীয় ৬১ রানে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়, তার সংগ্রহ ৩২ রান (২৩ বল)। দর্শেকরা ভেবেছিলেন পঞ্চম উইকেট পড়ার পর মূল প্রতিরোধ শক্তি নি:শেষ হয়ে গিয়েছিল বরিশালের। 

১০ ওভারে, ৫ উইকেটে ৮৫ রান তোলে বরিশাল। তখনো ৬০ বলে দরকার ছিল ১১৩ রান। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি চালিয়ে খেলেছেন। ১১২ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৭ বলে ২৭ রান করেন তিনি। তাদের পার্টনারশিপ ছিল মাত্র ২৫ বলে ৫১ রানের। তখনো অনেক কিছু বাকি ছিল ম্যাচের। বলা চলে তখনো ম্যাচের পেন্ডুলাম ঝূলে ছিল রাজশাহীর দিকেই। ৬ষ্ঠ উইকেট পতনের পরও ফাহিম আশরাফকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান রিয়াদ। ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি (৫১ রান) করেন রিয়াদ। অপর প্রান্তে ফাহিমের ব্যাট তখন আগুন ঝরাচ্ছিল, ১৮ বলে নিয়ে নেন ৪৫ রান। শেষ দুই ওভারে বরিাশালের প্রয়োজন পড়ে মাত্র ৪ রান। ছক্কা মেরে খেলা শেষ করেন ফাহিম আশরাফ, তাতে মাত্র ২১ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরিও (৫৪ রান) পূর্ন হয়। আর রিয়াদ অপরাজিত ছিলেন ২৬ বলে ৫৬ রান করে। বরিশালের স্কোর বোর্ডে তখন ৬ উইকেটে ২০০ রানের জ্বলজ্বলে সংখ্যা।  

এক সময় বরিশালের পরাজয় নিশ্চিত বলেই ধরে নিয়েছিল কেউ কেউ, সেই ম্যাচেই কিনা ১১ বল হাতে রেখে দুর্দান্ত জয়। ম্যাচটা যারা মাঠে বসে দেখেছেন তাদের ভাগ্যবানই বলতে হবে। অন্যদিকে দুভাগ্য রাজশাহীর। প্রথম ম্যাচটা তারা জিততে জিততেও হেরে গেলো।  

এনই

শেয়ার করুনঃ
Advertisement