শেরিল স্যান্ডবার্গ: নারীর ক্ষমতায়নে এক অগ্রণীর ভূমিকা

শেরিল স্যান্ডবার্গ: নারীর ক্ষমতায়নে এক অগ্রণীর ভূমিকা

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক:

Published : ১৪:৫৬, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

শেরিল স্যান্ডবার্গ ফেসবুকের প্রাক্তন সিইও, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে এক গুরুত্বপূর্ণ নাম।

তার উদ্যোগ, দৃষ্টিভঙ্গি এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি নারীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছেন, যা সমাজে এক নতুন পরিবর্তন আনতে সাহায্য করেছে।

১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উইলমিংটনে জন্মগ্রহণ করা শেরিলের শৈশব থেকেই নেতৃত্বের প্রতি আকর্ষণ ছিল। তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরে স্নাতকোত্তর করেন। ছাত্রজীবনেই তিনি নেতৃত্বের গুণাবলি প্রদর্শন করতে শুরু করেন এবং শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তির প্রতি তাঁর আগ্রহ বাড়তে থাকে।

২০০৮ সালে ফেসবুকে যোগ দেওয়ার পর শেরিল স্যান্ডবার্গ কোম্পানির অপারেশনাল কাঠামোকে শক্তিশালী করতে এবং নতুন বাজারগুলোতে প্রবেশ করতে সহায়তা করেন। 

তার নেতৃত্বের ফলে, ফেসবুকের বিজ্ঞাপন মডেল বিপ্লব ঘটায় এবং কোম্পানিটি প্রযুক্তি জগতের একটি শক্তিশালী নাম হয়ে ওঠে। কিন্তু এর বাইরে, তার কাজ নারীর ক্ষমতায়নের জন্যও একটি নতুন দিক খুলে দেয়।

শেরিল স্যান্ডবার্গ নারীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তার লেখা বই Lean In নারীদের ক্ষমতায়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যেখানে তিনি নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে আরও সাহসী হয়ে উঠার আহ্বান জানান। 

তিনি বিশ্বাস করেন, নারীরা যদি নিজেদেরকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে পারে, তবে সমাজের অগ্রগতিতে তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।

নারী নেতাদের জন্য শেরিলের কাজ একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছে। তার উদ্যোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো Lean In Foundation, যা নারীদের নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে। 

স্যান্ডবার্গ নারীদের বিভিন্ন অবস্থান থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রেরণা জোগায় এবং সমাজের পরিবর্তনের জন্য তাদের কাজ করার আহ্বান জানান।

শেরিলের নেতৃত্বে নারীদের ক্ষমতায়ন শুধুমাত্র চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীদের দৃঢ়তা ও অবস্থান উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তার অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি আজকের প্রজন্মের নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শেরিল স্যান্ডবার্গের জীবন আমাদের শেখায় যে, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নেতৃত্বে স্থায়ী পরিবর্তন আনতে হলে সহযোগিতা এবং সমর্থনের প্রয়োজন। তিনি প্রমাণ করেছেন, সত্যিকারের নেতৃত্বের মানে কেবল পদে থাকা নয়, বরং সেই পদ ব্যবহার করে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা। 

শেরিলের যাত্রা নারী ক্ষমতায়নের পথে একটি দীপ্তিমান উদাহরণ, যা প্রমাণ করে, একসাথে কাজ করলে আমরা এক নতুন দিগন্তের সন্ধান করতে পারি।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement