কলড্রপ ইস্যু, রবি-বাংলালিংককে বিটিআরসির নোটিশ

কলড্রপ ইস্যু, রবি-বাংলালিংককে বিটিআরসির নোটিশ

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক

Published : ১৬:২৯, ১২ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কলড্রপ ও নিম্নমানের সেবা নিয়ে মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) অপারেটর দুটিকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

বিটিআরসি সূত্রে, এটি তাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণের অংশ। সম্প্রতি তাদের কলড্রপের ড্রাইভ টেস্টের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এ নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। দুটি অপারেটরকে নোটিশের জবাব দিতে সাত কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। এর আগে কলড্রপ ইস্যুতে গত ১ জুলাই তারা গ্রামীণফোনকেও নোটিশ দিয়েছিল।

বিষয়টি নিয়ে রবি ও বাংলালিংক তাদের অবস্থান জানিয়েছে। রবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিটিআরসি ও রবির নিজস্ব কারিগরি টিমের পরীক্ষা অনুসারে সেবার মানের প্রবিধান অনুযায়ী প্রত্যাশিত পরিষেবার চেয়ে রবি আরও ভালো মানের পরিষেবা দিচ্ছে। তার মধ্যেই কারণ দর্শানোর নোটিশটি রবির জন্য বিস্ময়কর।

নোটিশটিকে তারা অযৌক্তিক উল্লেখ করে বলেছে, এ ধরনের নোটিশ নিয়ন্ত্রক কাঠামোতে বিভ্রান্তি ও অসংগতি সৃষ্টি করবে। রবি যথাসময়ে নিজেদের অবস্থান বিটিআরসিকে লিখিতভাবে জানাবে।

অপরদিকে বাংলালিংক বলেছে, তারা সবসময় গ্রাহকদের এবং নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করে থাকে। এছাড়া আরও উন্নত পরিষেবা প্রদানে কাজ করে যাবে।

জানা গেছে, গত ৩০ জুন বিটিআরসিতে কলড্রপ–সংক্রান্ত বৈঠক হয়। সেখানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জুলাই থেকে কলড্রপের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

বৈঠকে দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরের কাছে কলড্রপের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। সেখানে তারা টাওয়ার কম থাকার বিষয়টি বলেছিল। কলড্রপের যে প্যারামিটার, সেটা প্রায় সবাই পূরণ করছে বলেও দাবি করেছিলেন তারা।

অপারেটরদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসির মতামত ছিল, অপারেটরগুলো বরাদ্দকৃত তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) তুলনামূলক কম ব্যবহার করছে। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিনিয়োগেও তাদের আগ্রহ কম। এ কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকরা।

এদিকে, ওই বৈঠকের পর ৩ জুলাই প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, বরাদ্দ ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তরঙ্গ ব্যবহার না করলে অপারেটরদের জরিমানা করার সুযোগ রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী, প্রথমে গ্রামীণফোনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বাকি অপারেটরগুলোর বিষয়ে কাজ হচ্ছে। সঠিক ব্যাখ্যা না দিতে পারলে তাদের ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement