যে কারণে বন্ধ হচ্ছে ফেসবুক আইডি ও পেজ

নিত্যদিনের সঙ্গী মেটার মালিকানাধীন বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট ফেসবুক। ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির ব্যবহারকারীরা বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ, ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন। সেই সঙ্গে ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় ও অঞ্চলভিত্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।

সকালে উঠে ফেসবুকের প্রজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে বেশির ভাগ মানুষের দিন শুরু হয়। পাশাপাশি ফেসবুকে বেড়েছে অনলাইন ব্যবসা। ফেসবুক ছাড়া এখন যেন জীবন চলে না। তবে প্রায়ই দেখা যায়, ফেসবুক আইডি কিংবা পেজ বন্ধ বা ‘ডিজেবল’ হয়ে গেছে। অনেকেই এর কারণ জানেন না।

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ফেসবুক আইডি বা পেজ হঠাৎ বন্ধ হওয়ার কারণ জানিয়েছে বিবিসি।

আইডে ডিজেবল হয় যে কারণে-

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য মেটার (ফেসবুক) স্পষ্ট বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। যেটিকে বলা হয়, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন। সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য কমিউনিটি গাইডলাইন ৬টি ভাগে বিভক্ত। এগুলো হলো-

১. সহিংসতা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ
২. নিরাপত্তা
৩. আপত্তিজনক কনটেন্ট
৪. সত্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা
৫. মেধাস্বত্ব (ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি)
৬. অনুরোধ ও সমাধান।

কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের মধ্যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সহিংসতা, অপরাধ ও নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।

গাইডলাইনে যা বলা আছে-

ধর্ষণ, মরদেহ ও দুর্ঘটনার ছবি বা ভিডিও পোস্ট করলে, দুর্ঘটনা আগুন বা রক্তপাতের ছবি দৃশ্য প্রচার করলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ওই আইডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।

এছাড়া শ্মশানে মরদেহ পোড়ানো, যেকোনো ধরনের নির্যাতন, যেমন- শিশু যৌন নির্যাতন, নারী যৌন নির্যাতন, অপ্রাপ্তবয়স্ক নির্যাতন, প্রাণী শিকার, প্রাণী হত্যা, প্রাণী জবাই, প্রাণীর ক্ষত বা কাটা দৃশ্যমান ছবি বা ভিডিও প্রচার করলেও আইডি বা ব্যবসায়িক পেজ ডিজেবল হয়ে যাবে।

কোনো ধরনের টেরোরিজম বা জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চালানো যাবে না। এমনকি সহিংসতা, ছড়ানো হচ্ছে বলে রিপোর্ট করা মাত্রই আপলোড করা কনটেন্টসহ পুরো ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ রিমুভ হয়ে যাবে।

আপত্তিজনক কনটেন্ট, হিংসাত্মক বক্তব্য, জাতি অথবা মানুষের ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ বা শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে সরাসরি আক্রমণ করলেও তা নিয়ে রিপোর্ট হলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়। এক্ষেত্রে কখনো কখনো কয়েক দিনের জন্য পোস্ট বা কমেন্ট করা থেকে বিরত রাখা হয় অনেককে।