ভিপিএন কেন ব্যবহার করা হয়?
Published : ১৭:০৩, ২৫ জুলাই ২০২৪
বর্তমান সময়ে অনেকেই স্মার্টফোনে কিংবা কম্পিউটারে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন ব্যবহার করে থাকেন। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক সুবিধা পাওয়া যায়। সুরক্ষিত থাকে ডিভাইস এবং সংরক্ষিত ডেটা।
ডিভাইসে ভিপিএন চালু থাকলে নিরাপদে ইন্টারনেট সার্ভিস মিলবে। এছাড়া ওয়েবসাইট ভিজিট থেকে শুরু করে কনটেন্ট স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার (আইএসপি), হ্যাকার ও সরকারি নজরদারি থেকেও সুরক্ষিত থাকা যায়।
বিভিন্ন ধরনের ভিপিএন রয়েছে। সব ভিপিএনই যে ভালো পরিষেবা দেবে তা নয়। এজন্য ভিপিএনের নিরাপত্তা ফিচার, গোপনীয়তা নীতিমালা, সার্ভার নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেটের গতি ও সক্ষমতা এবং ব্যবহারকারীর জন্য কতটা সহায়ক এসব বিষয় নির্ভর করে।
ভিপিএন ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। এমনকি স্মার্টফোনে ভিপিএন ব্যবহার প্রয়োজন কেন, সেটি নিয়েও ব্যবহারকারীরা দ্বিধায় থাকেন। স্মার্টফোনে ভিপিএন ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধার কথা জানিয়েছেন প্রযুক্তি বিশারদেরা।
জিও ব্লকিং বন্ধের ক্ষেত্রে: এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনেক সময় পছন্দের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায় না। জিও ফেন্সিংয়ের কারণে এ সমস্যা হয়ে থাকে। এটি এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য কোনো সার্ভিস বা ওয়েবসাইটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এসব ক্ষেত্রে ভিপিএন সহায়ক হিসেবে কাজ করে। কারণ এর মাধ্যমে ঠিকানা পরিবর্তন করে ওয়েবসাইট বা কনটেন্টে প্রবেশ করা যায়।
পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারে নিরাপত্তা: হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্যাফেটেরিয়া ও বিমানবন্দরের মতো পাবলিক প্লেসে ফ্রি ওয়াই-ফাই থাকে। তবে এসব নেটওয়ার্কে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি রয়েছে। হ্যাকাররা সহজেই এসব নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। এ ধরনের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দেয় ভিপিএন।
পরিবর্তন হবে আইপি অ্যাড্রেস: ভিপিএন পরিষেবার মাধ্যমে আপনি যখন ইন্টারনেট ব্রাউজিং করবেন, তখন আপনার লোকেশন ট্র্যাক করা যাবে না। ফলে হ্যাকাররা আপনার ডিভাইসের নাগাল পাবে না। মূলত ভিপিএন চালু থাকলে ব্যবহারকারীর আইপি অ্যাড্রেস বা ইন্টারনেট প্রোটোকল অ্যাড্রেস বারবার পরিবর্তন হয়। তাই ব্যবহারকারীদের ট্র্যাক করা যায় না এবং তাদের গোপনীয়তা বজায় থাকে।
সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষা: অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে প্রবেশ করা বা ব্যক্তিগত তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ভিপিএন আলাদা নিরাপত্তা স্তর তৈরি করে থাকে। ভিপিএন সব তথ্যকে এনক্রিপ্টেড রাখে। ফলে তথ্য চুরি বা অনধিকার প্রবেশের মতো ঘটনা থেকে সুরক্ষিত থাকে স্মার্টফোন।
কনটেন্ট স্ট্রিমিংয়ে সহায়তা: গেমসহ বিভিন্ন কনটেন্টের জন্য স্ট্রিমিং সাইটগুলো অঞ্চলভেদে আলাদা ফিচার দিয়ে থাকে। ভিপিএনের মাধ্যমে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে স্ট্রিমিং পরিষেবায় বিভিন্ন ফিচার ব্যবহারের সুবিধা পাওয়া যায়। ভিপিএন সার্ভারে ইন্টারনেট সার্ফিং করলে ব্লক কনটেন্টের অ্যাকসেসও পাওয়া সম্ভব।
তথ্যসূত্র: মাইক্রোসফট আজুর, গিজচায়না
বিডি/ও