হ্যাকিংয়ের তথ্য গোপন করেছে ওপেনএআই

হ্যাকিংয়ের তথ্য গোপন করেছে ওপেনএআই

প্রযুক্তি ডেস্ক

Published : ১৫:৫৪, ৮ জুলাই ২০২৪

ইন্টারনেট জগতে হ্যাকিংয়ের মতো ঘটনা যেন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। অনেক সময় বড় বড় সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান হ্যাকিংয়ের ঘটনা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের আতঙ্কিত না করতে বা সরকারের চাপ মোকাবিলায় তারা এমনটি করে থাকে। 

বর্তমানে সময়ের সবচেয়ে আলোচিত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম একটি হলো ওপেনএআই। প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তৈরি করে এআই নির্ভর প্রযুক্তির বিকাশে নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালে হ্যাকিংয়ের মুখে পড়েছিল। অজ্ঞাত হ্যাকার প্রতিষ্ঠানটি অভ্যন্তরীণ এক বার্তা আদান-প্রদান ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করেছিল। 

ম্যাশেবলের তথ্যানুযায়ী, হ্যাকার কর্মীদের আলাপ থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রযুক্তির নকশা চুরি করেছে বলে জানা গেছে। কর্মীরা সেই মেসেজ সিস্টেমে চ্যাটজিপিটির সর্বশেষ মডেলের কাজ ও নকশা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। 

যদিও হ্যাকার শুধু ডিসকাশন ফোরামে প্রবেশ করেছিল। ওপেনএআইয়ের মূল সিস্টেম বা চ্যাটজিপিটির কোনো সার্ভারে প্রবেশ করতে পারেনি। সেই পরিস্থিতিতে ওপেনএআইয়ের নির্বাহীরা বেশ সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন।

হ্যাকিংয়ের ঘটনা যদি কোনো চীনা হ্যাকার ঘটায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তদন্তের মুখে পড়ার ভয় ছিল। তখন এফবিআইসহ মার্কিন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কোনো সংস্থাকে ওপেনএআই কোনো তথ্য জানায়নি। নিজেদের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও পরিচালনা পর্ষদকে হ্যাকিংয়ের ঘটনা জানানো হয় এবং তথ্য চুরি না হওয়ায় হ্যাকিংয়ের বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অনেক বছর ধরেই ওপেনএআইয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা প্রশ্ন তুলছেন। হ্যাকিং বা বিদেশি শক্তি চ্যাটজিপিটির মতো এআইকে হ্যাক করলে বিকল্প কী উপায় আছে, তা নিয়ে ওপেনএআই কখনোই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। 

এ বছরেও ওপেনএআইয়ের জিপিটি স্টোরের কিছু প্লাগিনসের নিরাপত্তা ত্রুটি দেখা যায়। মাঝেমধ্যেই নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে পড়লেও ওপেনএআই থেকে কোনো উত্তর মিলছে না।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement