আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শেষ হচ্ছে শুক্রবার 

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শেষ হচ্ছে শুক্রবার 

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৫:১০, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৯তম আসর এখন শেষ পর্যায়ে। মেলায় দর্শনার্থীদের পাশাপাশি বেড়েছে বিক্রি। তবে শেষে এসে বিক্রি বাড়লেও অতিরিক্ত টাকা দিয়ে দোকান নেওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তাই ৩১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ব্যবসায়ীরা মেলা কর্তৃপক্ষের কাছে সময় বাড়ানোর দাবি করছেন। ছুটির দিন ছাড়াও মেলার ২৭তম দিন সোমবার অঢেল দর্শনার্থী সমাগম হয়েছে।

এবারের আসরে ৩৬১টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো। মেলা শেষের দিকে হওয়ায় সব স্টলেই এখন ছাড়ের ছড়াছড়ি। অনেকেই ভিড় করেছেন আস্ত বাড়ি দেখতে। কেউবা আইসক্রিম কোম্পানির প্যাভিলিয়নে ভিড় করছেন। এবারের আসরে শুরু থেকেই দর্শনার্থী থাকলেও ক্রেতা তেমন ছিল না। শেষের দিকে এসে ক্রেতা বাড়ায় বড় লোকসান হবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। 

বিক্রয়কর্মীরা বলেন, এবার মেলায় ২৪ এর ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পলাতক। মূলত তাদের হাতে কাঁচা টাকা ছিল। যারা পণ্য ক্রয় করা, বিনোদনে খরচ করত অঢেল। কিন্তু যারা মেলায় আসছেন তাদের অতিরিক্ত খরচের মানসিকতা কম।

তারা আরও বলেন, এবারের মেলায় বিক্রি কম হয়েছে। স্টল প্রস্তুত করতে সময় লেগেছে। আবার মাসের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহ থাকায় লোক সমাগম কম হয়েছে। এতে মেলার কাক্সিক্ষত বিক্রি সম্ভব হয়নি। এখন আবার শীত কম আমাদের পণ্য অবিক্রীত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই লোকসান কমাতে ন্যূনতম ৭ দিনের সময় বাড়ালে উপকৃত হব।

ব্যবসায়ীরা বলেন, সময়সূচি, শীতের শেষ এবং রমজান সন্নিকটে থাকায় মেলায় বিক্রি কম। আবার নানা খরচসহ এক মাসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনো ১০ লাখ টাকার বেচাকেনা হয়নি।

ইপিবি সচিব বিবেক সরকার বলেন, এ বছর মেলার সময় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। প্রতিবছরই শেষ সপ্তাহে সময় বাড়ানোর দাবি ওঠে। এ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়নি। এবার ব্যাপক সাফল্য এসেছে মেলা থেকে। তারপরও দাবিদাওয়া বিষয়ে সরকার যা সিদ্ধান্ত দেয় তাই হবে।

এনই

শেয়ার করুনঃ
Advertisement