চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট কমছে

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট কমছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

Published : ১১:০৩, ১৯ আগস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় শুরু হওয়া অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসছে চট্টগ্রাম বন্দর। রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে গতি ফিরতে শুরু করায় বন্দরের কন্টেইনার জটও কমতে শুরু করেছে। 

প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক ডেলিভারির মাধ্যমে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউএস ধারণ ক্ষমতার এ বন্দরের কন্টেইনার সংখ্যা নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে তৈরি পোশাক রফতানির সুবিধার্থে খালি কন্টেইনার সরবরাহ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বিজিএমইএ।

চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে রয়েছে ৪০ হাজার ৮৬৫ কন্টেইনার। ক্রেনের পাশাপাশি ট্রাক-লরি চলাচলের জন্য ৩০ শতাংশ জায়গা খালি রাখার বিধান হিসাবে কন্টেইনারের এ অবস্থান অনেকটা স্বাভাবিক। 

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলতি মাসের শুরু থেকে ডেলিভারি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্দরে মারাত্মক কন্টেইনার জট সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন ইয়ার্ডে ৪৫ হাজারের বেশি কন্টেইনার আটকা পড়ে। বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে গত এক সপ্তাহ ধরে ডেলিভারির গতি বাড়িয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অত্যন্ত সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এসেছে। এছাড়া ব্যবহারকারীরাও অতি দ্রুত মালামাল নেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছে। সকল কিছু মিলিয়ে আমরা বিষয়টি সমাধানে সক্ষম হয়েছি।
 
স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গড়ে সাড়ে ৩ হাজার কন্টেইনার ডেলিভারি হলেও এখন তা বাড়িয়ে সাড়ে ৪-৫ হাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট একদিনেই ৫১০০ টিইইউএস কন্টেইনার ডেলিভারি দিয়ে রেকর্ড গড়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
 
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন বলেন, আমরা আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যে বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্দরে আগের ন্যায় ফিরে আসবে।
 
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে আটকা পড়া কন্টেইনারের মধ্যে অন্তত ১৭ হাজার কন্টেইনার ছিল বিজিএমএই ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের। চলতি সপ্তাহে এ জট কাটলেও এখন তারা খালি কন্টেইনার সংকট জটিলতায় ভুগছেন।
 
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ইমপোর্টের কন্টেইনার খালি না হওয়ার কারণে এক্সপোর্টের প্রতিবন্ধকতাটুকু পাচ্ছি। বর্তমানে কন্টেইনারবাহী আরও অন্তত ১৫টি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙরের অপেক্ষায় বর্হিনোঙ্গরে অবস্থান করছে।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement