কলকাতায় বাংলাদেশি ইলিশের কেজি ১৭০০ রুপি

কলকাতায় বাংলাদেশি ইলিশের কেজি ১৭০০ রুপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published : ১১:১১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্যাপক চাহিদার বিপরীতে রয়েছে পর্যাপ্ত যোগান। তবুও বাজারে দাম আকাশ ছোঁয়া। দামের জেরে উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত ক্রেতারা অস্বস্তিতে রয়েছেন। এমনটাই ছিলো কলকাতায় বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ইলিশের প্রথম চালানের পাইকারি ও খুচরা বাজারের চিত্র।

কলকাতায় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের ইলিশের প্রথম চালান এসেছে। আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোররাতেই সীমান্ত থেকে ইলিশ পৌঁছায় কলকাতার হাওড়া, পাতিপুকুর, বারাসাত, শিয়ালদা, উত্তরবঙ্গের শহর শিলিগুড়ির পাইকারি বাজারে। মাছের নিলাম শুরু হয় ভোররাতেই।

বাজারে যেখানে এক কেজির থেকে বড় ইলিশ পাইকারি বাজারেই দাম ওঠে ১৬০০ থেকে ১৭০০ রুপি। আর এক কেজির নিচের ইলিশের দাম উঠে ১৪০০-১৫০৯ রুপি। স্থানীয় খুচরা পর্যায়ে যেখানে দুই হাজার রুপি থেকে আড়াই হাজার রুপি পর্যন্ত দাম ওঠে।

বিক্রেতারা বলেছেন, পদ্মার ইলিশ মাছের ওপর এপার বাংলার বাঙালির তীব্র আবেগ থাকলেও দামের এমন ঊর্ধ্বগতি টান ফেলেছে পকেটে। এরমধ্যেও যে বিক্রি বাট্টা একেবারে খারাপ এমনটা নয়। তবে বিক্রি যেটুকু হয়েছে তার সিংহভাগই গিয়েছে বিত্তবানদের হেঁসেলে। মধ্যবিত্তের ভরসা সেই স্থানীয় ডায়মন্ড হারবার অথবা মিয়ানমারের ইলিশ। যদিও আসন্ন ছুটির দিন রোববার বিক্রি বাড়বে বলেই আশাবাদী বিক্রেতারা।

ইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ বলেন, প্রথম দিনের চালান হিসাবে প্রায় ৫০ মেট্রিক টনের বেশি মাছ এসেছে। যেহেতু প্রথম চালান স্বাভাবিকভাবেই বাঙালির আবেগের কারণে নিলামে দাম আজ একটু হলেও বেশি। ১০০ মেট্রিক টনের বেশি মাছ এলে দাম হয়তো কিছুটা কম হতো।

অনেক মাছ ব্যবসায়ীরা কিনতে এসেও দামের কারণে না নিতে পেরে ফিরে গিয়েছেন। আমাদের যেহেতু পাইকারি বাজার তাই অনেক বিক্রেতা মাছ নিয়ে ঠিকই যাবে। কিন্তু ক্ষুদ্র পর্যায় তাদের বিক্রি করতে ভালোই বেগ পেতে হবে। তবে নিয়মিত মাছ আসা শুরু হলে এই দাম কিছুটা কমে যাবে। তবে এটাও ঠিক যে বাংলাদেশের মাছের ল্যান্ডিং অনেক কম। তাই দাম যে খুব বেশি কমে যাবে এমন আশা করা যাচ্ছে না। 

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement