সাড়ে ১২ কোটি পিস পাঠ্যপুস্তক প্রিন্টের প্রস্তাব অনুমোদন

সাড়ে ১২ কোটি পিস পাঠ্যপুস্তক প্রিন্টের প্রস্তাব অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published : ১৫:৪১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন এবং কারিগরি বোর্ডের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ওই বৈঠকে সার, গম ও এলএনজি আমদানিরও অনুমোদন দেওয়া হয়। বুধবার বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ক্রয় এবং অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির দুটি বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নতুন বছরের প্রথম মাসেই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) এবং দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যপুস্তক পাবে। এ লক্ষ্যে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের পাঠ্যপুস্তক এবং কারিগরি বোর্ডের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি এবং কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থীরা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথমদিকেই পাঠ্যপুস্তক পাবে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) এবং দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাশাপাশি ইবতেদায়ির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই শ্রেণিগুলোর ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৬টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহে ব্যয় হবে ৫২৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইবতেদায়ির ৭ কোটি ৩১ লাখ ২৯ হাজার ৮৫৯টি পাঠ্যপুস্তকের মুদ্রণ, বাঁধাই ও সবরাহে ব্যয় হবে ২৮৯ কোটি টাকা। আর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিনামূল্যের ৫ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ৭৮৭টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহে ব্যয় হবে ২৪০ কোটি টাকা। বৈঠকে চলতি অর্থবছরের জন্য সুইজারল্যান্ড থেকে ৫০ হাজার টন গম কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৫ কোটি টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ২৯২.১৪ মার্কিন ডলার।

বৈঠকে সৌদি আরব, মরক্কো ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাফকো থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া, ৬০ হাজার টন টিএসপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে। এসব সার কিনতে ব্যয় হবে ৯৮৪ কোটি ৩ লাখ টাকা।

সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি (সাবিক) থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। প্রতি মেট্রিক টন ৩৮২.৬৭ মার্কিন ডলার হিসাবে ব্যয় হবে প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা। একই প্রতিষ্ঠান থেকে পৃথকভাবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। এক্ষেত্রে ব্যয় হবে ১৩৩ কোটি টাকা। প্রতি টনের মূল্য হবে ৩৭০.৮৩ মার্কিন ডলার।

এছাড়া কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। প্রতি মেট্রিক টন ৩৫০.৭৫ মার্কিন ডলার হিসাবে ব্যয় হবে ১২৬ কোটি টাকা।

মরক্কো থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৪১৫ মার্কিন ডলার হিসাবে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানি করতে ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি টাকা। পৃথকভাবে মরক্কো থেকে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আনা হবে। প্রতি মেট্রিক টন সারের ৪১৭.৫০ মার্কিন ডলার হিসাবে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি টাকা। একই দেশ থেকে আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২৮৭ কোটি টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৫৯৭.৫০ মার্কিন ডলার। এছাড়া ব্রুনাই থেকে এলএনজি আমদানিতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement