কম দামে বিমানের টিকিট কেনার ৭ টিপস

কম দামে বিমানের টিকিট কেনার ৭ টিপস

হোসাইন নূর

Published : ১৫:০৩, ১ অক্টোবর ২০২৪

উচ্চশিক্ষা, চাকরি ও ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে দেশের বাইরে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিমানের টিকেট কেনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এবং সবচেয়ে কম সময় লাগে বলে বিদেশগামী মানুষ ভ্রমণের জন্য আকাশপথ বেছে নেয়। কিন্তু বিমান ভাড়ার চওড়া মূল্যের কারণে বাজেট-সচেতন ভ্রমণকারীদের অভিজ্ঞতাটি খুব একটা সুখকর হয় না।

তাই ব্যয়বহুল যাত্রাপথের চাপ এড়াতে আগে থেকেই সুপরিকল্পিতভাবে কিছু কৌশল অবলম্বন করা জরুরি। সাশ্রয়ী বিকল্পের এই অনুসন্ধান অর্থসংকটের বিড়ম্বনা অনেকটাই লাঘব করতে পারেন।

চলুন, অপেক্ষাকৃত কম দামে ফ্লাইট বুকিং দেওয়ার ৭টি কার্যকর কৌশল সম্পর্কে জেনে নেই

১) মঙ্গলবার এবং বুধবার টিকিট বুক করুন

সপ্তাহের মঙ্গলবার ও বুধবার হল বিমান টিকিট কেনার সেরা দিনগুলির মধ্যে একটি। বেশিরভাগ এয়ারলাইনস সাধারণত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭:০০ টায় তাদের বুকিং সিস্টেম আপডেট করে। কারণ, এয়ারলাইনস জানে যে অধিকাংশ যাত্রী শুধুমাত্র সপ্তাহের দিনগুলোতে টিকিট বুক করতে সময় পান।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রমাণিত সত্য, আমাদের বেশিরভাগই সাধারণত শুক্রবার, শনিবার কিংবা রোববার টিকিটের দাম দেখেন।

২) আগেই টিকিট বুক করুন, তবে খুব বেশি আগে নয়

অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভ্রমণের তারিখের কমপক্ষে ২১ দিন আগে টিকিট বুক করা উচিত। বেশিরভাগ এয়ারলাইনস তাদের সিস্টেমগুলো এমনভাবে সেট করেছে যাতে যত বেশি সম্ভব টিকিট বিক্রি করতে পারে। তাই, সিস্টেমের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট কোটা থাকে কমদামে টিকিটের জন্য।

উদাহরণ  স্বরূপ, ঢাকা থেকে লন্ডনের ফ্লাইটের জন্য সিস্টেমে নির্ধারণ করা হয় যে প্রথম ২০ জন যাত্রী সবচেয়ে কম দাম পাবেন। পরবর্তী ২০০ জন মাঝারি দাম পাবেন, এবং বাকিরা সম্ভবত আরও বেশি মূল্য দিতে হতে পারে।

সংক্ষেপে, এয়ারলাইন্সের সিস্টেম ঢাকা থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় তারা যে মার্জিন চায় তার উপর ভিত্তি করে টিকিটের দাম নির্ধারণ করবে।

৩) ফ্লাই করার জন্য উপযুক্ত দিন

মঙ্গলবার বা বুধবার ফ্লাই করার জন্য টিকিট বুকের চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ এয়ারলাইনস এই দুই দিনকে ‘কম ব্যস্ত দিন’ হিসেবে নির্ধারণ করে বুকিং সিস্টেমের জন্য। এয়ারপোর্টও সাধারণত এই দুই দিন অন্যান্য দিনের তুলনায় কম ব্যস্ত থাকে, বিশেষ করে শুক্রবার এবং রবিবার যখন বুকিং সিস্টেম এবং এয়ারপোর্ট অনেক ব্যস্ত হয়ে ওঠে।

৪) আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য 'বেস্ট ডিল' খুঁজুন

অধিকাংশ এয়ারলাইনস আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য প্রায় ১১ থেকে ১২ সপ্তাহ আগে 'বেস্ট ডিল' অফার করে। তাই, এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত টিকিটের দাম পরীক্ষা করুন।

৫) বেছে নিন ছোট এয়ারপোর্ট

এই পদ্ধতি চেষ্টা করতে পারেন, যা হল প্রধান এয়ারপোর্টে না নেমে গন্তব্যের কাছাকাছি একটি ছোট এয়ারপোর্টে নামা। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি লন্ডনে যেতে চান, অনেকেই সাধারণত হিথ্রোতে নামেন। পরের বার, হিথ্রোতে না নেমে, হিথ্রোর কাছাকাছি একটি ছোট এয়ারপোর্ট যেমন ম্যানচেস্টারের এয়ারপোর্টে নামার চেষ্টা করুন। তারপর ম্যানচেস্টার থেকে আপনি ট্রেনে করে লন্ডনে যেতে পারেন। এই পদ্ধতি চেষ্টা করুন।

৬) 'কুকিজ' ক্লিয়ার করুন

অনেকে জানেন না, যদি আপনি ৩০ দিনের মধ্যে এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটে গিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ল্যাপটপ, স্মার্টফোন এবং পিসি থেকে কুকিজ ক্লিয়ার করুন। কারণ,  এই কুকিজের মাধ্যমে এয়ারলাইনসের বুকিং সিস্টেম মনে করবে যে আপনি বারবার তাদের ওয়েবসাইট দেখেছেন।

তাই, বুকিং সিস্টেম একই দাম দেখাবে এমনকি যদি আপনি বহুবার ওয়েবসাইটে যান, কখনও কখনও দাম বাড়তেও পারে! তাই, আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারের কুকিজ ক্লিয়ার করার অভ্যাস তৈরি করুন। আপনি যদি জানেন না কিভাবে তা মুছতে হয়, তাহলে গুগলের সহযোগিতা নিন!

৭) দাম যাচাই করুন

গুগল করতে এবং আপনি যে টিকিট কিনতে চান তার দাম অন্যান্য ওয়েবসাইটে যাচাই করতে অলস হবেন না। শুধু এক ওয়েবসাইটে ফোকাস করবেন না, আপনি অবাক হবেন, কারণ কখনো কখনো আপনি একই এয়ারলাইনসের টিকিট আরও সস্তায় পাবেন।

বিডি/এন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement