এভারেস্ট জয় করতে কত খরচ হয়?

এভারেস্ট জয় করতে কত খরচ হয়?

ভ্রমণ ডেস্ক:

Published : ১২:২৬, ২৫ জুলাই ২০২৪

এভারেস্ট জয় কোনো সহজ বিষয় নয়। পর্বতশৃঙ্গ জয় করার জন্য প্রয়োজন অদম্য সাহস, উদ্যম ও ধৈর্য্য। এজন্য প্রচুর পড়াশোনা, অনুশীলন করতে হয়। সেই সঙ্গে এ কাজের জন্য নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে হবে।

মাউন্ট এভারেস্ট বিজয় একটি লম্বা সময়ের অনুশীলন ও পরিকল্পনার বিষয়। এজন্য প্রচুর পরিশ্রম আর অর্থের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া সামান্য অসাবধানতায় রয়েছে মৃত্যুর ঝুঁকি।

পর্বতারোহীরা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বিধিবিধান মেনে এবং সামগ্রিক অনেক বিষয় বিবেচনা করার পর এ পরিকল্পনায় নেন। তবে প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি আর অদম্য সাহস থাকলে কোনোকিছুই জয় করা অসম্ভব নয়।

শারীরিক প্রশিক্ষণ

পর্বতশৃঙ্গ জয় করতেই প্রয়োজন শারীরিক সক্ষমতা। মাউন্ট এভারেস্টের ক্ষেত্রে এই ফিটনেস হওয়া উচিত আরও বেশি মানানসই। পদে পদে এ ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকায় নিজেকে সম্পূর্ণরুপে প্রস্তুত করে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, পাহাড়ের উঁচুতে অক্সিজেনের অভাব হয়। আর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৮৪৮ দশমিক ৮৬ মিটার উচ্চতায় আরোহণ করা অবশ্যই কোনো ছেলেখেলা নয়। তাই প্রচন্ড অধ্যবসায় আর শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের পরই, পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

আরোহণের সঠিক সময়

বেশিরভাগ পর্বতারোহী মে মাসে পাহাড়ে আরোহণের চেষ্টা করেন। সাধারণত ১৫ মে’র পরে তারা উপযুক্ত সময় মনে করেন। তখন আবহাওয়া গরম থাকে ও বাতাস পাহাড় থেকে দূরে সরে যায়। তবে বর্ষার ঠিক আগে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করা ভালো। যদি অবিরাম বৃষ্টি হয়, পর্বতারোহীদের উচিত এভারেস্ট অঞ্চলে না যাওয়া। তখন স্থানটি পিচ্ছিল ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। আবহাওয়া ঠিক না থাকলে এভারেস্টে ওঠা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

যাত্রা শুরু কোথায়

মাউন্ট এভারেস্ট নেপাল ও তিব্বত সীমান্তে অবস্থিত। যদিও সেখানে পৌঁছানোর অনেক পথ আছে, তবে বেশিরভাগ পর্বতারোহী দুটি পথ বেছে নেন। নেপালে দক্ষিণ রুট ও তিব্বতে উত্তর রুট। বেশিরভাগ ট্র্যাকিং প্রতিষ্ঠান নেপালে অবস্থিত। বর্তমানে তিব্বত থেকে এভারেস্টে আরোহণ অনেক ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে শুরু করে, দক্ষিণ রুটের আরোহণকারীরা লুকলা গ্রামে পৌঁছান ও যাত্রী বেস ক্যাম্পে পায়ে হেঁটে তাদের যাত্রা শুরু হয়।

কতটা সময় প্রয়োজন

মাউন্ট এভারেস্টে উঠতে প্রায় ২ মাস সময় লাগে। শেরপা গাইডরাও পর্বতারোহীদের সঙ্গে যান। তারা প্রায় ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এভারেস্ট বেস ক্যাম্প পর্যন্ত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভ্রমণ করেন। সেখানে একটা নির্দিষ্ট সময় অবস্থান করে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করা হয়। তারপর পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন তারা। প্রায় কয়েক মাস সময় হাতে নিয়ে বেশিরভাগ পর্বতারোহী হিমালয়ে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেন।

খরচ

এভারেস্ট বিজয় কোনো ঠুনকো বিষয় নয়। লম্বা প্রস্তুতি আর পরিকল্পনার পাশাপাশি বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন হয় এভারেস্ট বিজয়ে। এর জন্য পর্বতারোহীকে ২৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে বলে জানা যায়। নেপাল বা তিব্বত সরকারকে ক্লাইম্বিং পারমিট, বোতলজাত অক্সিজেন ও হাই অ্যাল্টিটিউড গিয়ারের জন্য ৯ লাখ ৪ হাজার ৫৬৮ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স দিতে হয়। আরও আছে তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, বুটসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয়াদির খরচ।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement