এক প্যাকেট কনডমের দাম ৭৬ হাজার টাকা
Published : ১৫:১৩, ৭ জানুয়ারি ২০২৫
কনডম জন্মনিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপাদান। বিশ্বের অনেক দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণের স্বার্থে কনডম ব্যবহারের উৎসাহিত করে সরকার। কমিয়ে দেওয়া হয় দাম। এমনকি কোনো কোনো দেশে বিনামূল্যেও দেওয়া হয়। তবে উল্টো নীতিও আছে। কোনো দেশে কনডম ব্যবহারের পক্ষপাতী নয় সরকার।
এমনই একটি দেশ দক্ষিণ আমেরিকার ভেনিজুয়েলা। দেশটিতে কনডম ব্যবহার নিয়ে কড়াকড়ি রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কনডম সহজলভ্য করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ভেনিজুয়েলায় এক প্যাকেট কনডমের দাম দিয়ে বাংলাদেশের বাজারে দুটি টেলিভিশন সেট কিংবা গরম দিনে একটি এসি খুব সহজেই কিনে নেওয়া যাবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেনিজুয়েলায় একটি সাধারণ কনডমের ন্যূনতম দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৬ হাজার টাকারও বেশি। উন্নত ব্র্যান্ডের ও ভাল মানের কনডম কিনতে চাইলে খরচ আরও বেশি। কেবল কনডম নয় দেশটিতে গর্ভনিরোধক ওষুধের দামও আকাশছোঁয়া। সাধারণ মানুষ তা কিনতে না পারায় পরিকল্পনা ছাড়াই সন্তানের জন্ম দিতে বাধ্য হন।
ভেনিজুয়েলায় কনডম বা গর্ভনিরোধকের দাম এত বেশি হওয়ার পেছনে রয়েছে দেশটির দীর্ঘ অর্থনৈতিক সঙ্কটের ইতিহাস। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভেনিজুয়েলার জনসংখ্যা ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭৩০ জন। এর মধ্যে পুরুষ এবং মহিলার অনুপাত ২.৪৩ শতাংশ এবং ০.৯৯ শতাংশ।
গত কয়েক বছর ধরে প্রবল অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকছে ভেনিজুয়েলা। দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও সাধারণের সাধ্যের বাইরে চলে গিয়েছে। তেলসমৃদ্ধ দেশটির ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে দেশটি অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে।
এর বাইরে ভেনিজুয়েলায় গর্ভপাত বেআইনি। আইনের বিচারে গর্ভপাতের শাস্তি ভয়াবহ কঠিন। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে গর্ভপাত আবশ্যিক হলেও সরকারি হাসপাতালে মেলে না সেই সেবা। ফলে দারিদ্র্য এবং সরকারের অনীহার কারণে দেশটিতে কনডম এবং জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধের দাম আকাশছোঁয়া।
বিডি/এন