“নাটক কম করো পিও!”- এর উদ্ভব কোথায়?

“নাটক কম করো পিও!”- এর উদ্ভব কোথায়?

TheBusinessDaily

Published : ১২:৪০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি ব্যঙ্গাত্মক স্লোগান ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে—“নাটক কম করো পিও!”।

তরুণ সমাজের হতাশা, ক্রোধ ও প্রাতিষ্ঠানিক অব্যবস্থাপনার প্রতি তাদের অসন্তোষের প্রতিফলন এ স্লোগানটি। এটি মূলত ছাত্র আন্দোলনের সময়ে উদ্ভূত হয় এবং দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়।

স্লোগানের উৎপত্তি ঘটে চলমান ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে, যা ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছড়িয়ে পড়ে।

এই আন্দোলন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্নীতি, প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা এবং দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে শুরু হয়। বিশেষ করে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায় নেমে আসে, তখন তাদের দাবিগুলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাটকীয়ভাবে খারিজ করে দেওয়া হয়, যা তাদের হতাশাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

এই ঘটনার পরই “নাটক কম করো পিও!” স্লোগানটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। “পিও” শব্দটি তৎকালীন সময়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে প্রচলিত একটি প্রতীকী শব্দ ছিল, যা প্রশাসনের অব্যবস্থাপনাকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হতো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের শক্তি এই স্লোগানটিকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখে। ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে স্লোগানটি দ্রুত ভাইরাল হয়।

শিক্ষার্থীরা এই স্লোগানটিকে বিভিন্ন মিম ও পোস্টারে ব্যবহার করতে থাকে, যা তাদের ব্যঙ্গাত্মক প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে ওঠে। সংবাদমাধ্যমগুলোও এই স্লোগানটি নিয়ে আলোচনা শুরু করে, যা মূলধারার মিডিয়ায় এর আরও প্রসার ঘটায়।

২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা করে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেনি, বরং তারা সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়েও তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

"নাটক কম করো পিও!" স্লোগানটি প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের প্রতীক হিসাবে দাঁড়িয়েছে, যা একটি নতুন সামাজিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং মুলধারার সংবাদ মাধ্যমে এই স্লোগানটি নিয়ে যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, তা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement